
নাইম আবদুল্লাহ, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করতে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক আবেগঘন সাংস্কৃতিক উৎসব।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে ম্যাকুয়ারি লিংকস গলফ ক্লাবের কমিউনিটি হলে পড়ুয়ার আসর আয়োজিত বিশেষ স্মরণানুষ্ঠান ‘প্রিয় পদরেখা’ ছিল সাহিত্য, স্মৃতি ও সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনমেলা।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নিয়ন আহমেদের কোরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী অ্যাকনলেজমেন্ট অব কান্ট্রি পাঠ করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হলে পুরো হলে এক গম্ভীর ও শ্রদ্ধাময় আবহ তৈরি হয়।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল হুমায়ূন আহমেদের রচনা থেকে বাছাই করা অংশের পাঠ। রোকেয়া আহমেদ, কাশফী আসমা আহমেদ ও মাজনুন মিজানের গ্রন্থনায় সাজানো এই পর্বে ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা ও কবিতা পাঠে অংশ নেন বহু পাঠক-সাহিত্যপ্রেমী।
লায়লা লজি পড়েন হুমায়ূন আহমেদের গল্প ‘ফেরা’ থেকে, রওশন পারভীন আত্মজৈবনিক রম্যরচনা থেকে এবং মাসাউকি খাতাঁওরা, শামীমা আলমগীর, আজিজা শাদাত ও মেহেদী হাসান হুমায়ূনের বিভিন্ন লেখা থেকে পাঠ করেন। কবিতা আবৃত্তি করেন নূররুনাহার বেগম, নাসরিন মোফাজ্জল ও কাশফী আসমা আলম।
‘জোছনা ও জননীর গল্প’ থেকে পাঠ করেন রীনা আক্তার, নূরুন্নাহার বেগম ও মুক্তিযোদ্ধা শাদাত হোসেন। শেষাংশ পাঠ করতে গিয়ে শাদাত হোসেন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়লে উপস্থিত দর্শকও গভীর আবেগে ভেসে যান।
এই পর্বে বিশেষ চমক ছিল নাট্য সংলাপ পরিবেশনা—মুনা ও বাকের চরিত্রে কাশফী আসমা আলম ও মেহেদী হাসানের পরিবেশনা এবং হিমু–রূপার আইকনিক দৃশ্যে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মাজনুন মিজান ও রূপন্তি আকিদের অভিনয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পড়ুয়ার আসর কর্তৃক প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদ স্মরণিকা ‘প্রিয় পদরেখা’–র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন করেন নাসরিন গনি। এসময় বক্তব্য দেন শফিকুল আলম ও সাজ্জাদ সিদ্দিকী।
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক শাখাওয়াৎ নয়নের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা। আলোচনায় অংশ নেন গবেষক শাফিন রাশেদ, ড. আলি কাজী, অজয় দাশগুপ্ত, নাসরিন গনি এবং অভিনেতা মাজনুন মিজান। তারা হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যভুবন, মানবিকতা, চরিত্র সৃষ্টির বৈচিত্র্য ও বাংলা সংস্কৃতিতে তার প্রভাব নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করেন।

তৃতীয় পর্বে পড়ুয়ার আসর কমিউনিটিতে অবদান রাখা চারজন গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান করে—সিরাজুস সালেকীনকে রবীন্দ্রসংগীতে অবদানের জন্য, সালেহা নবীকে সিডনির প্রথম বাংলা স্কুলে দীর্ঘদিন বাংলা শিক্ষা পরিচালনার জন্য, গামা কাদিরকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য এবং ড. রফিকুল ইসলামকে বাংলা প্রসার কমিটি ও বার্ডিয়া বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। রফিকুল ইসলাম অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় তার পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার স্ত্রী মিলি ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে ছিল গান, নৃত্য ও কবিতা। হুমায়ূন আহমেদের লেখা গানে কণ্ঠ দেন নাবিলা স্রোতস্বিনী, সামিহা রাশেদ ও তীর্থ কর। নৃত্য পরিবেশন করেন অবনী খান। এ ছাড়া গান পরিবেশন করেন এহসান আহমেদ, সাজ্জাদুল চৌধুরী বাপ্পী, ফারিয়া নাজিম, নাজ আহমেদ ও নীলুফা ইয়াসমিন। তবলায় সংগত করেন সাকিনা আক্তার ও বিজয় সাহা, মন্দিরায় ছিলেন শাজাহান বৈতালিক। কবিতা আবৃত্তি করেন পলি ফরহাদ। সমাপনী বক্তব্য দেন নাসরিন মোফাজ্জল।

মঞ্চসজ্জায় নেতৃত্ব দেন কাশফী আসমা আলম। খাবারের স্টলের দায়িত্বে ছিলেন রওশন পারভীন ও শামীমা আলমগীর মনি। বইঘরের পক্ষ থেকে আতিকুর রহমান শুভ উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের সব বইসহ।
সিডনির সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য ‘প্রিয় পদরেখা’ ছিল এক স্মরণীয় দিন—হুমায়ূন আহমেদের অমর সৃষ্টির প্রতি সম্মান ও আবেগে ভরা একটি পূর্ণাঙ্গ আয়োজন।

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করতে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক আবেগঘন সাংস্কৃতিক উৎসব।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে ম্যাকুয়ারি লিংকস গলফ ক্লাবের কমিউনিটি হলে পড়ুয়ার আসর আয়োজিত বিশেষ স্মরণানুষ্ঠান ‘প্রিয় পদরেখা’ ছিল সাহিত্য, স্মৃতি ও সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনমেলা।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নিয়ন আহমেদের কোরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী অ্যাকনলেজমেন্ট অব কান্ট্রি পাঠ করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হলে পুরো হলে এক গম্ভীর ও শ্রদ্ধাময় আবহ তৈরি হয়।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল হুমায়ূন আহমেদের রচনা থেকে বাছাই করা অংশের পাঠ। রোকেয়া আহমেদ, কাশফী আসমা আহমেদ ও মাজনুন মিজানের গ্রন্থনায় সাজানো এই পর্বে ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা ও কবিতা পাঠে অংশ নেন বহু পাঠক-সাহিত্যপ্রেমী।
লায়লা লজি পড়েন হুমায়ূন আহমেদের গল্প ‘ফেরা’ থেকে, রওশন পারভীন আত্মজৈবনিক রম্যরচনা থেকে এবং মাসাউকি খাতাঁওরা, শামীমা আলমগীর, আজিজা শাদাত ও মেহেদী হাসান হুমায়ূনের বিভিন্ন লেখা থেকে পাঠ করেন। কবিতা আবৃত্তি করেন নূররুনাহার বেগম, নাসরিন মোফাজ্জল ও কাশফী আসমা আলম।
‘জোছনা ও জননীর গল্প’ থেকে পাঠ করেন রীনা আক্তার, নূরুন্নাহার বেগম ও মুক্তিযোদ্ধা শাদাত হোসেন। শেষাংশ পাঠ করতে গিয়ে শাদাত হোসেন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়লে উপস্থিত দর্শকও গভীর আবেগে ভেসে যান।
এই পর্বে বিশেষ চমক ছিল নাট্য সংলাপ পরিবেশনা—মুনা ও বাকের চরিত্রে কাশফী আসমা আলম ও মেহেদী হাসানের পরিবেশনা এবং হিমু–রূপার আইকনিক দৃশ্যে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মাজনুন মিজান ও রূপন্তি আকিদের অভিনয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পড়ুয়ার আসর কর্তৃক প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদ স্মরণিকা ‘প্রিয় পদরেখা’–র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন করেন নাসরিন গনি। এসময় বক্তব্য দেন শফিকুল আলম ও সাজ্জাদ সিদ্দিকী।
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক শাখাওয়াৎ নয়নের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা। আলোচনায় অংশ নেন গবেষক শাফিন রাশেদ, ড. আলি কাজী, অজয় দাশগুপ্ত, নাসরিন গনি এবং অভিনেতা মাজনুন মিজান। তারা হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যভুবন, মানবিকতা, চরিত্র সৃষ্টির বৈচিত্র্য ও বাংলা সংস্কৃতিতে তার প্রভাব নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করেন।

তৃতীয় পর্বে পড়ুয়ার আসর কমিউনিটিতে অবদান রাখা চারজন গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান করে—সিরাজুস সালেকীনকে রবীন্দ্রসংগীতে অবদানের জন্য, সালেহা নবীকে সিডনির প্রথম বাংলা স্কুলে দীর্ঘদিন বাংলা শিক্ষা পরিচালনার জন্য, গামা কাদিরকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য এবং ড. রফিকুল ইসলামকে বাংলা প্রসার কমিটি ও বার্ডিয়া বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। রফিকুল ইসলাম অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় তার পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার স্ত্রী মিলি ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে ছিল গান, নৃত্য ও কবিতা। হুমায়ূন আহমেদের লেখা গানে কণ্ঠ দেন নাবিলা স্রোতস্বিনী, সামিহা রাশেদ ও তীর্থ কর। নৃত্য পরিবেশন করেন অবনী খান। এ ছাড়া গান পরিবেশন করেন এহসান আহমেদ, সাজ্জাদুল চৌধুরী বাপ্পী, ফারিয়া নাজিম, নাজ আহমেদ ও নীলুফা ইয়াসমিন। তবলায় সংগত করেন সাকিনা আক্তার ও বিজয় সাহা, মন্দিরায় ছিলেন শাজাহান বৈতালিক। কবিতা আবৃত্তি করেন পলি ফরহাদ। সমাপনী বক্তব্য দেন নাসরিন মোফাজ্জল।

মঞ্চসজ্জায় নেতৃত্ব দেন কাশফী আসমা আলম। খাবারের স্টলের দায়িত্বে ছিলেন রওশন পারভীন ও শামীমা আলমগীর মনি। বইঘরের পক্ষ থেকে আতিকুর রহমান শুভ উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের সব বইসহ।
সিডনির সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য ‘প্রিয় পদরেখা’ ছিল এক স্মরণীয় দিন—হুমায়ূন আহমেদের অমর সৃষ্টির প্রতি সম্মান ও আবেগে ভরা একটি পূর্ণাঙ্গ আয়োজন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে সংগঠনের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক শপথ পাঠ করানো হয়। ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সৈয়দ মাহবুব ও রুহুল কুদ্দুস চৌধুরীর নেতৃত্বে নতুন কমিটির সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের উপদেষ্টা শক্তি দেব।
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনায় হতাহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে তাদের মধ্যে কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক—বিভিন্ন বয়সী মানুষ রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি।
গণশুনানিতে যোগদানের জন্য দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল প্রবাসীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাহরাইনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শতাধিক প্রবাসী এই অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতের কাছে সরাসরি তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
পদোন্নতির ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট সাজেদুর রহমান বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের আন্তরিক সহযোগিতা ও প্রার্থনা ছাড়া এতদূর যেতে পারতাম না। উপরন্তু আমি বিশ্বাস করি, সাফল্যের জন্য আমার ফোকাসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি ও আমার পরিবারের জন্য আপনাদের দোয়া চাই।