
বিডিজেন ডেস্ক

আমেরিকার নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট স্পেশাল অ্যাসাইমেন্ট পদটি অন্যতম। সম্প্রতি এ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্য্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র সাজেদুর রহমান।
গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নিউইর্য়কের ম্যানহাটনের পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তিনি এই পদোন্নতি পান। জাঁকজমকপূর্ণ শপথ অনুষ্ঠানে তার হাতে পদোন্নতির সনদ তুলে দেন এনওয়াইপিডির বর্তমান পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ।
এদিকে এনওয়াইপিডিতে শাবির সাবেক মেধাবী ছাত্রের এই অনন্য কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন আমেরিকায় বসবাসরত শাবিপ্রবির প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন সাস্ট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইনক।
এ ছাড়া একইদিন পুলিশ অফিসার থেকে ৯ জন বাংলাদেশি সার্জেন্ট, সার্জেন্ট থেকে লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আরও তিনজন বাংলাদেশি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা), জ্যামাইকা ইন্টিগ্রেডেট বাংলাদেশি অফিসার্স নেটওয়ার্কের (জীবন) সদসদ্যবৃন্দ।

একই বিশ্ববিদ্য্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এস এম হক জানান, লেফটেন্যান্ট সাজেদুর রহমান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্য্যালয়ের ১৯৯৪-৯৫ সেশনের ছাত্র ছিলেন। নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের লেফটেন্যান্ট স্পেশাল অ্যাসাইমেন্ট পদে এই প্রথম বিশ্ববিদ্য্যালয়ের কোনো প্রাক্তন ছাত্রের পদায়ন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র সাজেদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৯৭ সালে ডিভি লটারিতে আমেরিকায় অভিবাসী হন। পরে তিনি নিউইর্য়ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওল্ড ওয়েস্টবারি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৮ সালে নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগে পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে সাজের্ন্ট এবং ২০২১ সালে লেফটেন্যান্ট হিসেবে পদোন্নতি পান। ওই পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের ক্রিমিনাল জাস্টিস ব্যুরোর (সিজেবিতে) অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা, পেশাদারত্ব বিশেষ দক্ষতার দরুণ তিনি এ মর্যাদাপূর্ণ পদে পদোন্নতি পান। একসময় তিনি বিভাগের ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটির (ইইও) অধীনে তদন্তকারী সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়া, তিনি কমিউনিটির ঐতিহ্যবাহী সংগঠন জ্যামাইকা ইন্টিগ্রেডেট বাংলাদেশি অফিসার্স নেটওয়ার্কের (জীবন) উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য।
যশোরের বাঘাপাড়ার দহাকুলো গ্রামের প্রয়াত বদর উদ্দিন বিশ্বাস ও প্রয়াত রিজিয়া খাতুনের ছেলে লেফটেন্যান্ট সাজেদুর রহমান । তিনি যশোরের বাঘারপাড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তার দুই মেয়ে ও সহধর্মিনী নিয়ে কুইন্সে বসবাস করেন।
পদোন্নতির ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট সাজেদুর রহমান বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের আন্তরিক সহযোগিতা ও প্রার্থনা ছাড়া এতদূর যেতে পারতাম না। উপরন্তু আমি বিশ্বাস করি, সাফল্যের জন্য আমার ফোকাসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি ও আমার পরিবারের জন্য আপনাদের দোয়া চাই।
নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের বাংলাদেশিদের নেতৃত্বের সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের মধ্যে নিজেদের সর্ম্পকে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আপনি যদি সুপারভাইজার পদে বেসামরিক ও নিয়মিতবাহিনীর সদস্যসহ বাংলাদেশিদের সাফল্যের হার দেখেন আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, এনওয়াইপিডির অন্য সদস্যরা আমাদের সাফল্যের জন্য ঈর্ষান্বিত।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এনওয়াইপিডির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। নিয়মিত বাহিনীতে হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ জন ইন্সপেক্টর, ১ জন ডেপুটি ইন্সপেক্টর, ৪ জন ক্যাপ্টেন, ২৫ জন লেফটেন্যান্ট, ৯০ জন সার্জেন্ট ও ১২ জন ডিটেকটিভ রয়েছেন। এ ছাড়া, পুলিশ বিভাগের অধীনে প্রায় ৭০০ ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্ট, স্কুল সেফটি এজেন্ট, পুলিশ কমিউনিকেশন টেকনেশিয়ান, স্কুল ক্রসিং গার্ডসহ প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
*সিকান্দর হক: প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাস্ট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ

আমেরিকার নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট স্পেশাল অ্যাসাইমেন্ট পদটি অন্যতম। সম্প্রতি এ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্য্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র সাজেদুর রহমান।
গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নিউইর্য়কের ম্যানহাটনের পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তিনি এই পদোন্নতি পান। জাঁকজমকপূর্ণ শপথ অনুষ্ঠানে তার হাতে পদোন্নতির সনদ তুলে দেন এনওয়াইপিডির বর্তমান পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ।
এদিকে এনওয়াইপিডিতে শাবির সাবেক মেধাবী ছাত্রের এই অনন্য কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন আমেরিকায় বসবাসরত শাবিপ্রবির প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন সাস্ট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইনক।
এ ছাড়া একইদিন পুলিশ অফিসার থেকে ৯ জন বাংলাদেশি সার্জেন্ট, সার্জেন্ট থেকে লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আরও তিনজন বাংলাদেশি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা), জ্যামাইকা ইন্টিগ্রেডেট বাংলাদেশি অফিসার্স নেটওয়ার্কের (জীবন) সদসদ্যবৃন্দ।

একই বিশ্ববিদ্য্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এস এম হক জানান, লেফটেন্যান্ট সাজেদুর রহমান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্য্যালয়ের ১৯৯৪-৯৫ সেশনের ছাত্র ছিলেন। নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের লেফটেন্যান্ট স্পেশাল অ্যাসাইমেন্ট পদে এই প্রথম বিশ্ববিদ্য্যালয়ের কোনো প্রাক্তন ছাত্রের পদায়ন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র সাজেদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৯৭ সালে ডিভি লটারিতে আমেরিকায় অভিবাসী হন। পরে তিনি নিউইর্য়ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওল্ড ওয়েস্টবারি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৮ সালে নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগে পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে সাজের্ন্ট এবং ২০২১ সালে লেফটেন্যান্ট হিসেবে পদোন্নতি পান। ওই পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের ক্রিমিনাল জাস্টিস ব্যুরোর (সিজেবিতে) অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা, পেশাদারত্ব বিশেষ দক্ষতার দরুণ তিনি এ মর্যাদাপূর্ণ পদে পদোন্নতি পান। একসময় তিনি বিভাগের ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটির (ইইও) অধীনে তদন্তকারী সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়া, তিনি কমিউনিটির ঐতিহ্যবাহী সংগঠন জ্যামাইকা ইন্টিগ্রেডেট বাংলাদেশি অফিসার্স নেটওয়ার্কের (জীবন) উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য।
যশোরের বাঘাপাড়ার দহাকুলো গ্রামের প্রয়াত বদর উদ্দিন বিশ্বাস ও প্রয়াত রিজিয়া খাতুনের ছেলে লেফটেন্যান্ট সাজেদুর রহমান । তিনি যশোরের বাঘারপাড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তার দুই মেয়ে ও সহধর্মিনী নিয়ে কুইন্সে বসবাস করেন।
পদোন্নতির ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট সাজেদুর রহমান বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের আন্তরিক সহযোগিতা ও প্রার্থনা ছাড়া এতদূর যেতে পারতাম না। উপরন্তু আমি বিশ্বাস করি, সাফল্যের জন্য আমার ফোকাসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি ও আমার পরিবারের জন্য আপনাদের দোয়া চাই।
নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের বাংলাদেশিদের নেতৃত্বের সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের মধ্যে নিজেদের সর্ম্পকে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আপনি যদি সুপারভাইজার পদে বেসামরিক ও নিয়মিতবাহিনীর সদস্যসহ বাংলাদেশিদের সাফল্যের হার দেখেন আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, এনওয়াইপিডির অন্য সদস্যরা আমাদের সাফল্যের জন্য ঈর্ষান্বিত।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এনওয়াইপিডির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। নিয়মিত বাহিনীতে হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ জন ইন্সপেক্টর, ১ জন ডেপুটি ইন্সপেক্টর, ৪ জন ক্যাপ্টেন, ২৫ জন লেফটেন্যান্ট, ৯০ জন সার্জেন্ট ও ১২ জন ডিটেকটিভ রয়েছেন। এ ছাড়া, পুলিশ বিভাগের অধীনে প্রায় ৭০০ ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্ট, স্কুল সেফটি এজেন্ট, পুলিশ কমিউনিকেশন টেকনেশিয়ান, স্কুল ক্রসিং গার্ডসহ প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
*সিকান্দর হক: প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাস্ট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ
অভিষেক অনুষ্ঠানে সংগঠনের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক শপথ পাঠ করানো হয়। ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সৈয়দ মাহবুব ও রুহুল কুদ্দুস চৌধুরীর নেতৃত্বে নতুন কমিটির সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের উপদেষ্টা শক্তি দেব।
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনায় হতাহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে তাদের মধ্যে কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক—বিভিন্ন বয়সী মানুষ রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি।
গণশুনানিতে যোগদানের জন্য দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল প্রবাসীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাহরাইনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শতাধিক প্রবাসী এই অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতের কাছে সরাসরি তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
পদোন্নতির ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট সাজেদুর রহমান বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের আন্তরিক সহযোগিতা ও প্রার্থনা ছাড়া এতদূর যেতে পারতাম না। উপরন্তু আমি বিশ্বাস করি, সাফল্যের জন্য আমার ফোকাসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি ও আমার পরিবারের জন্য আপনাদের দোয়া চাই।