
সহিদুল আলম স্বপন, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

২০২৫ সালের সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) সম্মেলন ভারতের জন্য ছিল এক অনন্য কূটনৈতিক মঞ্চ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ ৭ বছরের পর চীন সফর, সেখানে সি চিন পিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপস্থিতি—এসব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কৌশলগত ঘনিষ্ঠতার পর ভারতের এই ঝুঁকে পড়া কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কূটনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা? নাকি এটি কেবল ভারতের বহুস্তরীয় কূটনৈতিক কৌশলেরই যৌক্তিক বহিঃপ্রকাশ?
ভারত–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের প্রেক্ষাপট
১৯৯০-এর দশকের পর থেকে ভারত–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ক্রমশ উষ্ণ হয়েছে। বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি—সবখানেই সহযোগিতা বেড়েছে। কোয়াড (Quad) গঠনে ভারতের ভূমিকা ও ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সহযোগী হিসেবে ভারতের অবস্থান বহু দিনের। কিন্তু আমেরিকার সাম্প্রতিক শুল্কনীতি, বিশেষ করে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ, দিল্লিকে গভীরভাবে হতাশ করেছে।
ভারতের দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কেবল সহযোগী নয়, বরং প্রায়শই চাপ প্রয়োগকারী শক্তি হিসেবেও সামনে এসেছে। বাণিজ্য ঘাটতি, প্রতিরক্ষা ক্রয়, এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক—সব ক্ষেত্রেই ওয়াশিংটনের চাপ প্রায়শই একতরফা মনে হয়েছে। ফলে ভারত কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
চীনের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েন ও নতুন বাস্তবতা
ভারত–চীন সম্পর্ক গত দশকে বরাবরই সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে উত্তপ্ত ছিল। গালওয়ান সংঘর্ষ দুই দেশের আস্থার ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দেয়। তবুও, বাস্তবতা হলো—চীন ভারতের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। প্রযুক্তি, উৎপাদন, অবকাঠামো—সবখানেই চীনের প্রভাব অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এসসিওতে ভারতের সক্রিয় উপস্থিতি কেবল প্রতীকী নয়, বরং কৌশলগত। সীমান্তে শত্রুতা থাকা সত্ত্বেও দিল্লি বুঝতে পারছে, চীনকে পুরোপুরি পাশ কাটিয়ে বৈশ্বিক সমীকরণ সাজানো সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ভারত কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে চাইছে।
এসসিওর ভূরাজনীতি ও ভারতের অবস্থান
এসসিও মূলত চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম। এখানে পাকিস্তানও সদস্য। ফলে ভারতের উপস্থিতি অনেক সময়ে ‘বেমানান’ মনে হলেও বাস্তবে এটি ভারতের জন্য একটি প্রয়োজনীয় ভারসাম্য। ভারত এখানে দুই দিক থেকে ভূমিকা রাখছে।
এক. চীন–রাশিয়া–পাকিস্তান জোটের একচ্ছত্র প্রভাব প্রতিহত করা।
দুই. আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জোরালো করা।
তিন. কখনো কখনো ভারত যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করায় বিতর্ক তৈরি হলেও এটি ভারতের স্বাধীন অবস্থানেরই প্রমাণ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
ওয়াশিংটন থেকে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া এসেছে—ভারত, চীন, রাশিয়াকে ‘bad actors’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তবে একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী যে, দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠিত হতে পারে। এর মানে হলো, ওয়াশিংটন দিল্লির এই কূটনৈতিক খেলা বুঝছে, কিন্তু তাতে অস্বস্তিও প্রকাশ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারতকে চীনের প্রতিরোধে কৌশলগত সহযোগী হিসেবে রাখতে। কিন্তু ভারত যদি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের শিবিরে বাধা পড়ে যায়, তবে তার স্বার্থসিদ্ধি সীমিত হয়ে যাবে। এই কারণেই দিল্লি বহুমাত্রিক কূটনীতিকে বেছে নিচ্ছে।
বিশ্বাসঘাতকতার যুক্তি
অনেকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, কূটনৈতিক সমর্থন ও অর্থনৈতিক সুযোগ দিয়েছে, তখন চীনের দিকে ভারতের ঝুঁকে পড়া আসলেই বিশ্বাসঘাতকতা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের চোখে ‘পিঠে ছুরি মারা’র মতো। বিশেষ করে কোয়াড ও ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের প্রেক্ষাপটে ভারতের এই পদক্ষেপ অনেককে হতাশ করেছে।
এ ছাড়া, সীমান্ত সংঘর্ষে চীনের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান ভারত নিয়েছিল, সেটি হঠাৎ পরিবর্তিত হওয়া অনেকের চোখে অসঙ্গতিপূর্ণ।
কৌশলগত বাস্তবতার যুক্তি
অন্যদিকে বাস্তবতাকে বিবেচনা করলে ভারতের এই পদক্ষেপ অনেকটাই যৌক্তিক। বহু ধ্রুববিশ্বে একক মিত্রের ওপর নির্ভরতা ঝুঁকিপূর্ণ।
ভারতের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে বৈচিত্র্যময় বাজার ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তান–চীন অক্ষকে প্রতিহত করতে ভারতের ভেতরে থেকেই প্রভাব বিস্তার জরুরি। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি ত্যাগ না করে, চীনের দিকেও সাময়িক ঝুঁকে ভারসাম্য রক্ষা করাই ভারতের মূল কৌশল।
‘বিশ্বাসঘাতকতা’ শব্দটি অনেকটা আবেগপ্রবণ। বাস্তবতায় ভারত তার সার্বভৌম স্বার্থ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ওয়াশিংটনকে এটি তিক্ত লাগলেও দিল্লির কাছে এটি কূটনৈতিক স্বনির্ভরতারই বহিঃপ্রকাশ। সুতরাং, ভারতের এই ঝুঁকে পড়াকে বিশ্বাসঘাতকতা বলা ঠিক নয়; বরং এটি কৌশলগত বাস্তবতায় চালিত একটি অপরিহার্য বহুমাত্রিক পদক্ষেপ, যা দীর্ঘমেয়াদে ভারতকেই শক্তিশালী করে তুলবে।
(মতামত লেখকের নিজস্ব)
*লেখক: সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংকিং আর্থিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং কলামিস্ট ও কবি। email: shahidul.alam@bluewin

২০২৫ সালের সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) সম্মেলন ভারতের জন্য ছিল এক অনন্য কূটনৈতিক মঞ্চ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ ৭ বছরের পর চীন সফর, সেখানে সি চিন পিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপস্থিতি—এসব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কৌশলগত ঘনিষ্ঠতার পর ভারতের এই ঝুঁকে পড়া কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কূটনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা? নাকি এটি কেবল ভারতের বহুস্তরীয় কূটনৈতিক কৌশলেরই যৌক্তিক বহিঃপ্রকাশ?
ভারত–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের প্রেক্ষাপট
১৯৯০-এর দশকের পর থেকে ভারত–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ক্রমশ উষ্ণ হয়েছে। বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি—সবখানেই সহযোগিতা বেড়েছে। কোয়াড (Quad) গঠনে ভারতের ভূমিকা ও ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সহযোগী হিসেবে ভারতের অবস্থান বহু দিনের। কিন্তু আমেরিকার সাম্প্রতিক শুল্কনীতি, বিশেষ করে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ, দিল্লিকে গভীরভাবে হতাশ করেছে।
ভারতের দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কেবল সহযোগী নয়, বরং প্রায়শই চাপ প্রয়োগকারী শক্তি হিসেবেও সামনে এসেছে। বাণিজ্য ঘাটতি, প্রতিরক্ষা ক্রয়, এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক—সব ক্ষেত্রেই ওয়াশিংটনের চাপ প্রায়শই একতরফা মনে হয়েছে। ফলে ভারত কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
চীনের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েন ও নতুন বাস্তবতা
ভারত–চীন সম্পর্ক গত দশকে বরাবরই সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে উত্তপ্ত ছিল। গালওয়ান সংঘর্ষ দুই দেশের আস্থার ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দেয়। তবুও, বাস্তবতা হলো—চীন ভারতের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। প্রযুক্তি, উৎপাদন, অবকাঠামো—সবখানেই চীনের প্রভাব অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এসসিওতে ভারতের সক্রিয় উপস্থিতি কেবল প্রতীকী নয়, বরং কৌশলগত। সীমান্তে শত্রুতা থাকা সত্ত্বেও দিল্লি বুঝতে পারছে, চীনকে পুরোপুরি পাশ কাটিয়ে বৈশ্বিক সমীকরণ সাজানো সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ভারত কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে চাইছে।
এসসিওর ভূরাজনীতি ও ভারতের অবস্থান
এসসিও মূলত চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম। এখানে পাকিস্তানও সদস্য। ফলে ভারতের উপস্থিতি অনেক সময়ে ‘বেমানান’ মনে হলেও বাস্তবে এটি ভারতের জন্য একটি প্রয়োজনীয় ভারসাম্য। ভারত এখানে দুই দিক থেকে ভূমিকা রাখছে।
এক. চীন–রাশিয়া–পাকিস্তান জোটের একচ্ছত্র প্রভাব প্রতিহত করা।
দুই. আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জোরালো করা।
তিন. কখনো কখনো ভারত যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করায় বিতর্ক তৈরি হলেও এটি ভারতের স্বাধীন অবস্থানেরই প্রমাণ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
ওয়াশিংটন থেকে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া এসেছে—ভারত, চীন, রাশিয়াকে ‘bad actors’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তবে একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী যে, দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠিত হতে পারে। এর মানে হলো, ওয়াশিংটন দিল্লির এই কূটনৈতিক খেলা বুঝছে, কিন্তু তাতে অস্বস্তিও প্রকাশ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারতকে চীনের প্রতিরোধে কৌশলগত সহযোগী হিসেবে রাখতে। কিন্তু ভারত যদি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের শিবিরে বাধা পড়ে যায়, তবে তার স্বার্থসিদ্ধি সীমিত হয়ে যাবে। এই কারণেই দিল্লি বহুমাত্রিক কূটনীতিকে বেছে নিচ্ছে।
বিশ্বাসঘাতকতার যুক্তি
অনেকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, কূটনৈতিক সমর্থন ও অর্থনৈতিক সুযোগ দিয়েছে, তখন চীনের দিকে ভারতের ঝুঁকে পড়া আসলেই বিশ্বাসঘাতকতা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের চোখে ‘পিঠে ছুরি মারা’র মতো। বিশেষ করে কোয়াড ও ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের প্রেক্ষাপটে ভারতের এই পদক্ষেপ অনেককে হতাশ করেছে।
এ ছাড়া, সীমান্ত সংঘর্ষে চীনের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান ভারত নিয়েছিল, সেটি হঠাৎ পরিবর্তিত হওয়া অনেকের চোখে অসঙ্গতিপূর্ণ।
কৌশলগত বাস্তবতার যুক্তি
অন্যদিকে বাস্তবতাকে বিবেচনা করলে ভারতের এই পদক্ষেপ অনেকটাই যৌক্তিক। বহু ধ্রুববিশ্বে একক মিত্রের ওপর নির্ভরতা ঝুঁকিপূর্ণ।
ভারতের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে বৈচিত্র্যময় বাজার ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তান–চীন অক্ষকে প্রতিহত করতে ভারতের ভেতরে থেকেই প্রভাব বিস্তার জরুরি। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি ত্যাগ না করে, চীনের দিকেও সাময়িক ঝুঁকে ভারসাম্য রক্ষা করাই ভারতের মূল কৌশল।
‘বিশ্বাসঘাতকতা’ শব্দটি অনেকটা আবেগপ্রবণ। বাস্তবতায় ভারত তার সার্বভৌম স্বার্থ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ওয়াশিংটনকে এটি তিক্ত লাগলেও দিল্লির কাছে এটি কূটনৈতিক স্বনির্ভরতারই বহিঃপ্রকাশ। সুতরাং, ভারতের এই ঝুঁকে পড়াকে বিশ্বাসঘাতকতা বলা ঠিক নয়; বরং এটি কৌশলগত বাস্তবতায় চালিত একটি অপরিহার্য বহুমাত্রিক পদক্ষেপ, যা দীর্ঘমেয়াদে ভারতকেই শক্তিশালী করে তুলবে।
(মতামত লেখকের নিজস্ব)
*লেখক: সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংকিং আর্থিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং কলামিস্ট ও কবি। email: shahidul.alam@bluewin
জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো সংস্কার সফল হবে না। যেকোনো অনিয়ম প্রকাশ পেলে দ্রুত তদন্ত, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি এবং বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এগুলো শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বরং এক ধরনের মানসিক বার্তাও তৈরি করে যে অপরাধী রেহাই পায় না। বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে লুটপাটের প্রধান শক্তি ছিল বিচারহীনতা।
১৯২০-এর দশকে ইউরোপ তখন যুদ্ধ-পরবর্তী অস্থিরতায় কাঁপছে। আইফেল টাওয়ার তখনো এতটা জনপ্রিয় নয়। রক্ষণাবেক্ষণে খরচ বাড়ছে, আর শহরে গুজব—টাওয়ারটা নাকি ভেঙে ফেলা হতে পারে। এই সুযোগটাই কাজে লাগালেন বিশ্বখ্যাত প্রতারক ভিক্টর লাস্টিগ।
এই সময় আমরা যে প্রার্থনায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তা কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি এক মানবিক আবেদন, জীবনের বহু ঝড় অতিক্রম করা এক নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। জিয়া পরিবারের প্রতি দোয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই এবং চিকিৎসা সেবায় যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানাই, যারা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
গামা আব্দুল কাদির সুদীর্ঘ প্রবাস জীবনে বাংলাদেশ অ্যাসেসিয়েশনের পাচঁবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখনো এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অস্ট্রেলিয়া এবং আওয়ামী লীগের অস্ট্রেলিয়া শাখারও প্রধান উপদেষ্টা।