
ফারহানা আহমেদ লিসা

সানডিয়েগোতে বাংলাদেশিরাই আমার আর আমার দুই বাচ্চার পরিবার। দেশ থেকে বহু দূরে থাকি ছোট্ট এক টুকরো বাংলাদেশে যেন। যে কয় দিন কাজ করি, বাসায় এসে বাচ্চাদের সঙ্গে ইফতার করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় রোজার দিন তাই আমি আর বাচ্চারা ঠিক করলাম কাছের কয়েকটি পরিবার নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করব। সব সময় ছুটির দিনে কারও না কারও বাসায় আমরা যাই। ইফতারের সময় একটু ভয় ছিল পারব তো? আধা ঘণ্টা আগে থেকেই বন্ধুরা আসা শুরু করল। এরপর ইফতারি সাজানো, কোন খাবার কখন বের করব, সব তারা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।
একসঙ্গে দোয়া, নামাজ পড়ে অপূর্ব মায়াময় একটা মাসের শুরু। ইনারামনি তার বাবা আর মাকে অসম্ভব ব্যস্ত রাখে। খুব চঞ্চল, আর সারা দিন ব্যথা পায়, আমাদের ভবিষ্যৎ আইনস্টাইন। সে ইফতারের খুশিতে শুরু করল নাচ। বাইরে তখন শুরু হয়েছে শিলাবৃষ্টি। কেউ কেউ চলে গেলেন মসজিদে তারাবিহ পড়তে। এক বছরের চারুলতা মায়ের সঙ্গে বসল বাসায়। আমার মেয়ে ‘রামাদান কারিম’ লেখা লাইট সাজিয়েছে।

পরের সপ্তাহে কনির বাসায় গেলাম আমরা ইফতারে। দোয়ার পর জমজম কূপের পানি দিয়ে ইফতার শুরু করলাম। রোজা রেখে সব খাবার এত অপূর্ব করে রান্না করে পরিবেশন করা ওর পক্ষেই সম্ভব। ভালোবাসামাখা যে।
চার শনিবারে মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে বড় করে সবাইকে ইফতারি খাওয়ান সবাই, তিন শনিবার অন্য দেশিরা। একটা শনিবার আমাদের সবাই ইফতারি খাওয়াই। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। খাবার আসে রেস্তোরাঁ থেকে, ফল সবাই কাটেন, গোছান।
গত শনিবার কাজ ছিল। যেতে পারিনি, নামাজ শেষে আমার আপা ঠিকই মসজিদের ইফতারি আমাদের দিয়েছেন বাসায় এসে। এই ইফতারির সঙ্গে সবাই বাড়তি টাকা দেন, মসজিদের জন্য। বেশ কয়েক বছর ধরে এ নিয়মই চলছে। জাকাত–ফিতরা সবাই দেশেই পাঠান, তবে অনেককে ঈদের নামাজের আগে ফিতরা মসজিদে দিতে দেখেছি। দেশে অনেকেই বিভিন্নভাবে ইফতারি খাওয়ান মানুষকে। ফান্ড রেইজ করেন। পরবর্তী প্রজন্ম শিখছে। আমাদের আশা, নাড়ির টান সব সময় যেন থাকে ওদের মধ্যে।
আগে ছোট করে কয়েকটা হতো। আর গত বছর থেকে বড় করেই হচ্ছে চাঁদরাত উদ্যাপন। একদিকে ঈদের আনন্দে গান, অন্যদিকে মেহেদির রঙে সাজছে সবাই। স্থানীয় বেশ কিছু শিল্পী আছেন নাচগানের। সেই সঙ্গে ছোট বাচ্চাদের পরিবেশনা দেশের আনন্দমুখর দিনগুলোয় নিয়ে যায়। নজরুলের ‘বুলবুলি’ গানটা গাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে, তবে সেই রাতেই হাসপাতালের কাজে কেউ সিক কল করেছে। আমাকে আগেভাগে বলে রেখেছে যেতে। আকুল আবেদন জানিয়েছি, কেউ যদি তোলে সে শিফটটা। না তুললে সারা রাত কাজ করে দিনে হবে ঈদ। কাছের মানুষগুলোকে দেখব—এ আনন্দ রাখি কোথায়।
সবাইকে আগাম ঈদ মোবারক। পৃথিবীতে আসুক শান্তি আর ভালোবাসা। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন খুব ভালো থাকি।

সানডিয়েগোতে বাংলাদেশিরাই আমার আর আমার দুই বাচ্চার পরিবার। দেশ থেকে বহু দূরে থাকি ছোট্ট এক টুকরো বাংলাদেশে যেন। যে কয় দিন কাজ করি, বাসায় এসে বাচ্চাদের সঙ্গে ইফতার করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় রোজার দিন তাই আমি আর বাচ্চারা ঠিক করলাম কাছের কয়েকটি পরিবার নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করব। সব সময় ছুটির দিনে কারও না কারও বাসায় আমরা যাই। ইফতারের সময় একটু ভয় ছিল পারব তো? আধা ঘণ্টা আগে থেকেই বন্ধুরা আসা শুরু করল। এরপর ইফতারি সাজানো, কোন খাবার কখন বের করব, সব তারা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।
একসঙ্গে দোয়া, নামাজ পড়ে অপূর্ব মায়াময় একটা মাসের শুরু। ইনারামনি তার বাবা আর মাকে অসম্ভব ব্যস্ত রাখে। খুব চঞ্চল, আর সারা দিন ব্যথা পায়, আমাদের ভবিষ্যৎ আইনস্টাইন। সে ইফতারের খুশিতে শুরু করল নাচ। বাইরে তখন শুরু হয়েছে শিলাবৃষ্টি। কেউ কেউ চলে গেলেন মসজিদে তারাবিহ পড়তে। এক বছরের চারুলতা মায়ের সঙ্গে বসল বাসায়। আমার মেয়ে ‘রামাদান কারিম’ লেখা লাইট সাজিয়েছে।

পরের সপ্তাহে কনির বাসায় গেলাম আমরা ইফতারে। দোয়ার পর জমজম কূপের পানি দিয়ে ইফতার শুরু করলাম। রোজা রেখে সব খাবার এত অপূর্ব করে রান্না করে পরিবেশন করা ওর পক্ষেই সম্ভব। ভালোবাসামাখা যে।
চার শনিবারে মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে বড় করে সবাইকে ইফতারি খাওয়ান সবাই, তিন শনিবার অন্য দেশিরা। একটা শনিবার আমাদের সবাই ইফতারি খাওয়াই। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। খাবার আসে রেস্তোরাঁ থেকে, ফল সবাই কাটেন, গোছান।
গত শনিবার কাজ ছিল। যেতে পারিনি, নামাজ শেষে আমার আপা ঠিকই মসজিদের ইফতারি আমাদের দিয়েছেন বাসায় এসে। এই ইফতারির সঙ্গে সবাই বাড়তি টাকা দেন, মসজিদের জন্য। বেশ কয়েক বছর ধরে এ নিয়মই চলছে। জাকাত–ফিতরা সবাই দেশেই পাঠান, তবে অনেককে ঈদের নামাজের আগে ফিতরা মসজিদে দিতে দেখেছি। দেশে অনেকেই বিভিন্নভাবে ইফতারি খাওয়ান মানুষকে। ফান্ড রেইজ করেন। পরবর্তী প্রজন্ম শিখছে। আমাদের আশা, নাড়ির টান সব সময় যেন থাকে ওদের মধ্যে।
আগে ছোট করে কয়েকটা হতো। আর গত বছর থেকে বড় করেই হচ্ছে চাঁদরাত উদ্যাপন। একদিকে ঈদের আনন্দে গান, অন্যদিকে মেহেদির রঙে সাজছে সবাই। স্থানীয় বেশ কিছু শিল্পী আছেন নাচগানের। সেই সঙ্গে ছোট বাচ্চাদের পরিবেশনা দেশের আনন্দমুখর দিনগুলোয় নিয়ে যায়। নজরুলের ‘বুলবুলি’ গানটা গাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে, তবে সেই রাতেই হাসপাতালের কাজে কেউ সিক কল করেছে। আমাকে আগেভাগে বলে রেখেছে যেতে। আকুল আবেদন জানিয়েছি, কেউ যদি তোলে সে শিফটটা। না তুললে সারা রাত কাজ করে দিনে হবে ঈদ। কাছের মানুষগুলোকে দেখব—এ আনন্দ রাখি কোথায়।
সবাইকে আগাম ঈদ মোবারক। পৃথিবীতে আসুক শান্তি আর ভালোবাসা। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন খুব ভালো থাকি।
জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো সংস্কার সফল হবে না। যেকোনো অনিয়ম প্রকাশ পেলে দ্রুত তদন্ত, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি এবং বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এগুলো শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বরং এক ধরনের মানসিক বার্তাও তৈরি করে যে অপরাধী রেহাই পায় না। বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে লুটপাটের প্রধান শক্তি ছিল বিচারহীনতা।
১৯২০-এর দশকে ইউরোপ তখন যুদ্ধ-পরবর্তী অস্থিরতায় কাঁপছে। আইফেল টাওয়ার তখনো এতটা জনপ্রিয় নয়। রক্ষণাবেক্ষণে খরচ বাড়ছে, আর শহরে গুজব—টাওয়ারটা নাকি ভেঙে ফেলা হতে পারে। এই সুযোগটাই কাজে লাগালেন বিশ্বখ্যাত প্রতারক ভিক্টর লাস্টিগ।
এই সময় আমরা যে প্রার্থনায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তা কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি এক মানবিক আবেদন, জীবনের বহু ঝড় অতিক্রম করা এক নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। জিয়া পরিবারের প্রতি দোয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই এবং চিকিৎসা সেবায় যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানাই, যারা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
গামা আব্দুল কাদির সুদীর্ঘ প্রবাস জীবনে বাংলাদেশ অ্যাসেসিয়েশনের পাচঁবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখনো এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অস্ট্রেলিয়া এবং আওয়ামী লীগের অস্ট্রেলিয়া শাখারও প্রধান উপদেষ্টা।